বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের বিরামপুরে কলেজ বাজারসহ পৌর শহরের মহাসড়কে দূর্ঘটনা এড়াতে গতিরোধক (স্পিডব্রেকার) ও ফুটওভারব্রিজ না থাকায় রাস্তা পারাপারে প্রতিদিনই চরম দুর্ভোগে পহাতে হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের।

দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কটি বিরামপুর পৌর শহরের অনেক ব্যস্ততম সড়ক। এই মহাসড়কের ওপর দিয়ে প্রতিদিনই অহরহ দূরপাল্লার বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন ভারী যানবাহন চলাচল করছে।

 

মহাসড়কে নেই কোন ফুটপাত, গতিরোধক (স্পিডব্রেকার) ও ফুটওভারব্রিজসহ নেই কোন জেব্রা ক্রোসিং। এই অবস্থায় প্রতিদিনই শিক্ষার্থী ও পথচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছে। জীবনকে বিপদাপন্ন করে মহাসড়কটি আড়াআড়ি ভাবে পাড়ি দিয়ে নিজ নিজ গন্তব্য যাচ্ছে সকলেই।

বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনই সকাল ও বিকেলে সড়ক পার হয়ে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া ও বাড়িতে ফেরা হয়ে পড়েছে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

মঙ্গলবার পৌর শহরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের আদর্শ স্কুল মোড়ে কিছু সময় পর পর অনেক শিক্ষার্থী ও পথচারীরা হাত উঁচিয়ে গাড়ি থামিয়ে মহাসড়কের রাস্তা পার হচ্ছে। এতে প্রায়ই সময়ই সৃষ্টি হয় অনাকাঙ্ক্ষিত যানজট, মানব জটলা, এমনকি ঘটছে দূর্ঘটনা। কেউ কেউ হাতি না দেখিয়ে গাড়ি না থামিয়ে দৌড়ে রাস্তা পার হচ্ছেন, এতে করে ঘটছে দূর্ঘটনা।

আদর্শ স্কুল মোড় থেকে কলেজ বাজার বটতলী মোড় পর্যন্ত মহাসড়কে দু’পাশে রয়েছে অনেক গুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে সড়কের এক দিকে রয়েছে আদর্শ হাইস্কুল ও ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, আদর্শ মহিলা মাদ্রাসা, আইডিয়াল কেজি স্কুল, শিমুলতলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়। অন্যদিকে রয়েছে বিরামপুর সরকারি কলেজ, চাঁদপুর ফাজিল মাদ্রাসা, উপজেলা কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজিয়েট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং আমানুল্লাহ আদর্শ বিদ্যা নিকেতন। এই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে অনেক অনেক শিক্ষার্থী।

বিরামপুর আইডিয়াল কেজি স্কুলের সিনিয়র শিক্ষিকা মর্জিনা বেগম বলেন, পথচারী ও শিক্ষার্থীদের নিরাপদে মহাসড়ক পারাপারের জন্য কলেজ বাজার এলাকায় একটি ফুটওভারব্রীজের দাবী আমাদের দীর্ঘদিনের। এলাকাবাসীর ‍দুর্ভোগ লাঘবে উপজেলা প্রশাসন ও পৌর মেয়র এব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও পথচারীদের রাস্তা পারাপারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশা করছি।

জানতে চাইলে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার বলেন, দিনাজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় ও পৌর মেয়রসহ শহরের মহাসড়কে গতিরোধক (স্পিডব্রেকার) ও ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণের বিষয়ে কথা হয়েছে, আশা করছি খুব দ্রুত এর সমাধান হবে।